ছবি :- পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পাঠ্যপুস্তক |
লেখক-:মতি নন্দী
লেখকের পরিচিত :- মতি নন্দী (১০ জুলাই ১৯৩১ - ৩ জানুয়ারি ২০১০) ছিলেন ভারতের কলকাতার একজন বাঙালি লেখক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মতি নন্দী ছিলেন মূলত ক্রীড়া সাংবাদিক এবং উপন্যাসিক ও শিশু সাহিত্যিক। তিনি আনন্দ পুরস্কার এবং সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেছেন। তার বিখ্যাত উপন্যাস 'কোনি'। লেখকের সম্বন্ধে আরো পড়ুন
একদিন খবরের কাগজে একটা খবর দেখে ক্ষিতীশ কেটে রেখে দিল । বােমবাইয়ের মহারাষ্ট্র স্টেট চ্যামপিয়নশিপে রমা যােশি নামে একটি মেয়ে ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে সময় করেছে এক মিনিট ১২ সেকেন্ড । এক - কুড়ির উপরে সময় করাই ভারতীয় মেয়েদের রেওয়াজ , সেখানে এক - বারাে ! ক্ষিতীশ এরপর কোনির ট্রেনিং আরাে কঠিন করে তুলল ।
এবার জাতীয় সাঁতার চ্যামপিয়নশিপ দিল্লিতে । পুজোর পর বাংলা দল রওনা হয়ে গেল । অমিয়া মেয়েদের দলের অধিনায়িকা । বাংলার মেয়েরা একটি সােনা , দুটি রূপাে , দুটি ব্রোঞ্জ নিয়ে ফিরল। সােনাটি অমিয়ার , ১০০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে । রমা যােশি একাই ছয়টি সােনা জিতল চারটি ব্যক্তিগত রেকর্ড করে ।
শীত এসে গেছে । কমলদিঘির জলও কমে গেছে । সােয়েটার পরা লােকেরা এখন সেখানে বেড়ায় । কেউ আর জলে নামে । কিন্তু অব্যাহত কোনির দুবেলা জলে নামা । আপত্তি করেছিল অনেকেই । ক্ষিতীশ জবাবে শুধু বলেছে , “ যদি পারে তাহলে নামবে না কেন ? সারা বছরই ট্রেনিংয়ে থাকা দরকার । প্র্যাকটিশ চাই , প্র্যাকটিশ । মুভমেন্টগুলাে যেন অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যায় , স্বাভাবিক হয়ে আসে । তা না হলে স্পিড বাড়ানাে যাবে না । এদেশে মাত্র ছ'মাস সাঁতার হয় , তাই তাে এই শােচনীয় দশা । ”
কোনিকে বাকি তিনটি স্ট্রোকও ক্ষিতীশ ইতিমধ্যে শিখিয়ে দিয়েছে । ফ্রি স্টাইল , বাটার ফ্লাই , ব্যাক এবং ব্রেস্ট এই চার রকমের স্ট্রোক মিলিয়ে কোনি এখন দিনে দু'মাইল হাড়ভাঙা সাঁতার কাটে । কঞ্চির মতাে শরীরটার ওজন বেড়ে হয়েছে ৫০ কেজি ।
বছর ঘুরে নতুন বছর এল ।
একদিন ভেলাে , প্ল্যাটফর্মের উপর দাঁড়ানাে ক্ষিতীশকে বলল , “ ক্ষিদ্দা , এ বছর ওকে কম্পিটিশনে নামাবে তাে ? "
ক্ষিতীশ তখন কোনির দুটো পায়ের গােছ বাঁধছিল রবারের দড়ি দিয়ে । পা বাঁধা অবস্থায় শুধু মাত্র হাতের পাড়িতে ওকে ‘ পুল ’ করতে হবে । ক্ষিতীশ অন্য মনস্কের মতাে বলল , “ সিজন শুরু হয়ে গেছে ? ”
“ সিজন কী তােমার জন্য বসে থাকবে নাকি । কর্পোরেশন তাে অনেকদিন কমলদিঘিতে জল ছেড়েছে , হুঁশ নেই – ”
ভেলাে কথা থামিয়ে ফেলল । ক্ষিতীশ হাত তুলে রয়েছে । কোনি স্টার্টিং পজিশনে ।
“ অন ইওর মার্ক --- গেট সেট - ” ক্ষিতীশ হাতটা নামাল । কোনি ঝাপাবার সঙ্গে সঙ্গে একবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে নিয়ে পিছন ফিরে বলল , “ কী বলছিলিস ? ”
“ হরিচরণরা ভয় পেয়ে গেছে । ”
ভেলাের ধারেকাছে কেউ নেই , তবু সে এধার ওধার তাকিয়ে গলা নামিয়ে বলল , “ অমিয়া ও বেলা জুপিটারে আবার চলে এসেছে তাে , সে খবর রাখাে কি ? ওদের ট্রেনিং চার্ট তৈরি করছে হরিচরণ । অমিয়া বলছে অতাে ট্রেনিং লােড নিতে পারব না । তাই নিয়ে হরির সঙ্গে তক্কাতর্কি হয়েছে। হরি বলেছে , যদি ক্ষিদ্দার মেয়েটার হাতে মার না খেতে চাস তাে হার্ড ট্রেনিং আরম্ভ কর । ”
“ করেও কোনো লাভ নেই । কোনি এখন যে টাইম করছে , অমিয়ার পক্ষে সেখানে পৌঁছনাে সম্ভব হবে না । ”
“ তা হলে এবার ওকে জুপিটারের চ্যামপিয়নশিপে নামিয়ে , অমিয়াকে মার খাওয়াও । মনে আছে কী বলে অপমান করেছিল । "
জলে কোনির দিকে চোখ রেখে ক্ষিতীশ জবাব দিতে ভুলে গেল । ভেলাে ধড়মড়িয়ে বলল , “ যা বলতে এসেছিলুম সেটাই বলা হয়নি । আর একটা দরজির দোকান ঠিক করেছি । দিনে প্রায় হাপ কেজি মাল হয় । ওরা তােমার জন্য রেখে দেবে , তুমি কালই যেও । এই নাও ঠিকানাটা । ”
ভেলাে চলে যাবার পর ক্ষিতীশ স্টার্টিং ব্লকের উপর বসে ওর কথাগুলাে মনের মধ্যে নাড়াচাড়া করছিল । তখনই দেখল ধীরেন ঘােষ আর বদু চাটুজ্জে কমলদিঘির পশ্চিম গেট দিয়ে ঢুকে কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে আসছে তার দিকেই ।
“ ক্ষিদ্দা দেখছি উঠে - পড়ে লেগেছে । কদ্দুর হলাে ? ”
ক্ষিতীশ যথাসম্ভব নিরাসক্ত হবার চেষ্টা করে ধীরেনকে বলল , “ কীসের কদ্দুর । ”
“ এই তােমার চ্যাপিয়ন তৈরি করার । এবার দিল্লিতে দেখলুম বােমবাইয়ের রমা যােশিকে । অসাধারণ , ফ্যান্টাস্টিক । ইন্ডিয়ায় এ রকম মেয়ে সুইমার কখনাে হয়নি । ”
“ হ্যাঁ , ভালােই টাইম করেছে । ” ক্ষিতীশ নিষ্প্রাণস্বরে বলল ।
“ তােমার এই গঙ্গা থেকে কুড়ােনাে মেয়েটা কেমন টাইম করছে ? ” বদু চাটুজ্জে নস্যির ডিবেটা রেলিংয়ে ঠুকে ঢাকনিটা খুলতে খুলতে বলল , “ ডন ফ্রেজারের টাইম ধরে ফেলেছে ? ”
“ আর একটু বাকি আছে । কাল পরশুই ধরে ফেলবে । ” ক্ষিতীশের চোখ জোড়া মিটমিট করে উঠল ।
কোনি তখন কিকিং বাের্ড ধরে স্প্রিন্ট করে যাচ্ছে। বদু চাটুজ্জে সেদিকে তাকিয়ে বলল , “ ঠাট্টা করলে আমার সঙ্গে ! "
“ ঠাট্টা ! জলে নেমে এক বছরেই ডনের টাইম ধরে ফেলেছে কিনা জিজ্ঞাসা করলেন । এমন সিরিয়াস কথার পর কি ঠাট্টা চলে ? “ আগে অমিয়াকে বিট করুক , তারপর বড়াে বড়াে ব্যাপার ভাবা যাবে । ”
‘ তা বটে । ” ধীরেন ঘােষ বিজ্ঞের মতাে বলল । “ তবে অমিয়াকে বিট করা আর সম্ভব হলাে না । এইটেই ওর লাস্ট সিজন । বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে , বিয়ের পরই চলে যাবে কানাডায় । ”
ক্ষিতীশ সচকিত হয়ে উঠল । কোনি যদি অমিয়াকে না হারায় , তাহলে বিরাট একটা অপূর্ণতা ক্ষিতীশের জীবনে যেন রয়ে যাবে । চিরকাল যেন তাকে অতৃপ্ত থেকে যেতে হবে ।
“ তাহলে কোনিকে এবার তাে নামিয়ে জানতে হয় বেঙ্গল চ্যামপিয়নের থেকে কত পিছনে রয়েছে । ”
" না না , তা করতে যেও না । " বদু চাটুজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল । " সব শুরু করছে । বাচ্চা মেয়ে এখুনি বড়ো রকমের মার খেয়ে গেলে সেটব্যাক হবে । তাতে ওর ক্ষতিই হবে । "
“ হােক । তবু তাে পরে বলতে পারবে , অমিয়ার পা ধােয়া জল খেয়েছি । ”
সেইদিনই নকুল মুখুজ্জেকে ক্ষিতীশ জানাল , এবার জুপিটারের কম্পিটিশনে কোনির এন্ট্রি অবশ্যই যেন দেওয়া হয় ।
ক্ষিতীশ এবার আরাে সতর্ক , আরাে হিসেবি , আরাে কঠিন হলাে কােনির ট্রেনিং সম্পর্কে । তীক্ষ্ণ নজর রাখল কোনির হাবভাব , শােয়া , খাওয়া এবং বিশ্রামের দিকে । প্রতিমাসে একবার রক্তে হেমােগ্লোবিনের মাত্রা পরীক্ষা করে পরিশ্রমের ভার বাড়িয়ে যেতে লাগল । অ্যাপােলাের ছেলেদের সঙ্গে এখন তাকে প্রতিযােগিতা করিয়ে সময় নেয়। ক্ষিতীশ একদিন কাগজে বড়াে অক্ষরে লাল কালিতে ৭০ ' লিখে ক্লাবের বারান্দায় দেয়ালে সেঁটে দিল । কৌতুহলী প্রশ্নের উত্তরে সে হেসে বলল , “ অত বছর আমায় বাঁচতে হবে কিনা , সেটা যাতে মনে থাকে তাই চোখের সামনে রাখলাম রােজ দেখার জন্য । ”
আসলে ওটা হচ্ছে ৭০ সেকেন্ড । সময়টা কোনির চোখে প্রতিদিন ভাসিয়ে রাখার জনা শুধু ক্লাবেই নয় , বাড়িতেও দেয়ালে লিখে রেখেছে । রমা যােশি এখন লক্ষ্যের পাত্রী । এক মিনিট ১০ সেকেন্ডে কোনিকে এই বছরই সাঁতরাতে হবে ।
“ অসম্ভব বলে কিছু নেই রে । ” কোনিকে রাত্রে খাওয়ার পর বাড়ির পৌছে দেবার সময় ক্ষিতীশ বলে , “ বুঝলি , আমাদের শত্রু হচ্ছে সময় এই ঘড়িটা । ”
ক্ষিতীশ পকেট থেকে স্টপ ওয়াচটা বার করে কোনির চোখের সামনে ধরে । কোনি সেটা হাতে নিয়ে গভীর মনােযােগে দেখতে থাকে । বারবার চাবি টিপে দেখে কাঁটাটা থরথরিয়ে কেমন এগােচ্ছে ।
“ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দিকে এগােতে হলে , ছােটোখাট রেকর্ডগুলাে ভাঙতে ভাঙতে এগােতে হবে । ”
“ ক্ষিদ্দা , অমিয়াদির রেকর্ড কবে ভাঙব ? ”
ঘড়িটা কানে লাগিয়ে কোনি হঠাৎ প্রশ্নটা করল ।
ক্ষিতীশ হেসে বলল , “ কেন ? ”
“ আজ দোকানে এসেছিল ব্লাউজ করাতে । আমাকে সকলের সামনে বলল , তুই এখানে ঝিয়ের কাজ করিস ? জানাে ক্ষিন্দা , আমার খুব লজ্জা করল । আমার হাতের লেখাটা এত খারাপ, নইলে খাতায় মাপ লেখার কাজ করতে পারতুম । তুমি বৌদিকে একটু বলবে ? আমি রােজ তাহলে হাতের লেখার প্র্যাকটিস করব । ”
“ বলব । ” ক্ষিতীশ মৃদু স্বরে বলল । “ লজ্জা কখনাে পুরােটো জিততে পারবি না । কাউন্টারের ওধারে বসলে খানিকটা জেতা হবে । ক্ষমতা দিয়ে জিততে হয় । তাের আসল লজ্জা জলে , আসল গর্বও জলে । যখন তাের ক্ষমতা খানিকটা বাড়াতে পারবি , শুধু তাের কেন , তখন আমারও মান তাতে বাড়বে , মানুষের মান বাড়বে । ”
“ মানুষেরও । ” কোনি হকচকিয়ে বলল ।
ক্ষিতীশ ওর পিঠে চাপড় দিয়ে ঝুঁকে ভারী গলায় বলল , “ হ্যাঁ , মানুষেরও । মানুষ শব্দের থেকে জোরে আকাশে উড়েছে , দশ সেকেন্ডের কমে ডাঙায় একশাে মিটার ছুটছে , জলে মেয়েরা এক মিনিটের বাধা ভেঙেছে । স্বপ্নেও ভাবা যায়নি এমন সব পদ্ধতি লেবরেটরিতে , অপারেশন টেবলে মানুষ শিখছে এই শরীরের আয়ু বাড়াতে । একদিন আসবে যখন আলাের গতিকে মানুষ হার মানাবে , ইচ্ছামতাে বয়সটা বাড়াবে । এই যে রেকর্ড ভেঙে মানুষ জলে , স্থলে , আকাশে এগােচ্ছে , এ সবই মানুষের মুক্তির চেষ্টা , এই ঘড়িটার হাত থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা । একদিন সব ঘড়ি ভেঙে চুরমার করে দেবে মানুষ , সময়কে হারিয়ে দেবে মানুষ । ”
“ ক্ষিদ্দা , কাঁধে লাগছে । ” কোনি অস্ফুটে কাতরে উঠল । কেনির কাধে উত্তেজিত আঙুলগুলাে চেপে বসে গেছে । ক্ষিতীশ লজ্জা পেয়ে হাতটা নামিয়ে নিল ।
“ অনেক সময় আবােলতাবােল বকি । তুই এসব কথা বুঝতে পারিস ? ”
কোনি মাথা নাড়ল । ক্ষিতীশ যেন তাতে নিশ্চিত হলাে , এমন স্বরে বলল , “ তাের পক্ষে এসব শক্ত কথা । তবে আরাে বড়াে হ , বুঝতে পারবি । ”
“ ক্ষিদ্দা , তুমি কিন্তু বললে না , আমার টাইম অমিরাদির রেকর্ডের থেকে কত পেছনে ।
“ বলব বলব , একেবারে কম্পিটিশনেই দেখিয়ে দেবাে ব্যাটাদের , কে কার পায়ের জল খায় । ”
এর তিনমাস পরই ক্ষিতীশ অ্যাপােলাের বারান্দায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে উঠল , “ বদমাইসি , এসব হচ্ছে ধীরেনের বদমাইসি । কোনির এন্ট্রি নেবে না কেন ? অ্যাপােলাের সঙ্গে ঝগড়া , তাই বলে সুইমারদের ওপর ঝাল ঝাড়বে । প্রােটেস্ট করাে , ইনজাংশন দাও ... যা খুশি ইচ্ছে মতাে করবে , এটা কি মগের মুল্লুক ! ”
নকুল মুখুজে আর বিষ্টু ধর এবং আরাে অনেকে সেখানে বসে । ক্ষিতীশ পায়চারি করছিল , থমকে জুপিটার ক্লাবের দিকে মুখ ফিরিয়ে বলল , “ কোথায় নেমে গেছে – অপদার্থরা ক্লাবটাকে কোথায় নামিয়ে এনেছে । এখন ভয়ে ইতরােমাে শুরু করেছে । ভেবেছে এইভাবে ক্ষিতীশ সিংগীকে আটকাবে । ”
ফিসফিস করে বিষ্টু ধর বলল , “ এসব বিনােদ ভড়ের পরামর্শে হয়েছে । পাবলিককে এটা জানানাে উচিত । প্রেস কনফারেন্স ডাকব আমি ।
নকুল মুখুজ্জে ধীরে ধীরে মাথা নাড়ল ।
“ এন্ট্রি রিফিউজ করার অধিকার ক্লাবের আছে । ওরা বলেছে ডেট পেরিয়ে গেছে তাই নেবে না । লাস্ট ডেট কবে সেটা তাে ওরা বলে দেয়নি , সুতরাং আইনের ফাঁক রেখেছে । প্রােটেস্ট , ইনজাংশন কিছুই চলবে না । ”
“ এটা মরালিটির ব্যাপার । " ক্ষিতীশ অধৈর্য ভঙ্গিতে নিজের বুকে চাপড় দিল । “ এটা খেলার , এটা সাহসের , এটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার । ”
নকুল মুখুজ্জের ঠোট বিদ্রুপে মুচড়ে উঠল । বিষ্টু ধর উত্তেজিত হয়ে বলল , “ তাহলে একটা ডিমনস্ট্রেশন করলে কেমন হয় । বিক্ষোভ প্রতিবাদ জুপিটারের সামনে , বিনােদ ভড়ের বাড়ির সামনে ? একটা মিছিলও যদি পাড়ায় পাড়ায় –
“ ওতে অনেক ঝামেলা । ” নকুল ঠান্ডা স্বরে বিষ্টু ধরকে মিইয়ে দিল । “ জুপিটারেরই পাবলিসিটি হবে , ওদের ইজ্জৎ , একটুও তাতে কমবে না । আপনার ইলেকশন পর্যন্ত লােকে এসব মনেও রাখবে না । তার থেকে বরং অন্য কিছু ভাবা যেতে পারে ।
ক্ষিতীশ , তুই কি নিশ্চিত যে , কোনি এখন অমিয়াকে হারাতে পারে ? ”
“ নিশ্চয় । ” ক্ষিতীশ বলল দাঁতে দাঁতে চেপে ।