![]() |
| ছবি :- পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পাঠ্যপুস্তক |
লেখক-: মতি নন্দী
লেখকের পরিচিত :- মতি নন্দী (১০ জুলাই ১৯৩১ - ৩ জানুয়ারি ২০১০) ছিলেন ভারতের কলকাতার একজন বাঙালি লেখক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মতি নন্দী ছিলেন মূলত ক্রীড়া সাংবাদিক এবং উপন্যাসিক ও শিশু সাহিত্যিক। তিনি আনন্দ পুরস্কার এবং সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেছেন। তার বিখ্যাত উপন্যাস 'কোনি'। লেখকের সম্বন্ধে আরো পড়ুন
জুপিটার সুইমিং ক্লাবের কম্পিটিশন প্রতিবছরই এই রকম জাঁকালােভাবে হয় । কমলদিঘির অর্ধাংশের চারটে গেট বন্ধ করে , জুপিটারের অংশটুকু টিন দিয়ে ঘেরা হয়েছে । কাঠের গ্যালারি তৈরি করা হয় দিঘির তিন - চতুর্থাংশ ঘিরে । সাঁতার শুরু হয় যেদিকের প্লাটফর্ম থেকে , তার পিছনে তিন সারি বিশিষ্ট অতিথিদের চেয়ার এবং তার পিছনেও গ্যালারি । প্ল্যাটফর্মের একধারে টেবিলে । সেখানে মাইক্রোফোন নিয়ে ঘােষক আর জন্য পাঁচেক টাইম রেকর্ডার । বুকে ব্যাজ ঝুলিয়ে , কয়েকটা স্যুভেনির হাতে ধীরেন ঘােষ বিশিষ্ট অতিথিদের তদারকিতে ব্যস্ত । কম্পিটিশনের চিফ রেফারি হরিচরণ ।
ভিড়ে আজ ফেটে পড়ছে কমলদিঘি । গ্যালারি ভেঙে কয়েকজন মাটিতে পড়েছে , একজনের হাত ভেঙেছে । রেলিংয়ের ভিতরে পাড় ঘিরে লােক দাঁড়িয়ে । দুটি ছেলে ভিড়ের ধাক্কায় জলে পড়েছিল । অবশ্য তারা সাঁতার জানে । ডাইভিং বাের্ডে উঠেছে বহু ছেলে । জুপিটারের এলাকা যেখানে শেষ হয়েছে অর্থাৎ টিনের বেড়ার পরেই অ্যাপােলাের এলাকায় , রেলিং ঘিরে হাজার দুয়েক মানুষ । তারা দূর থেকেই প্রতিযােগিতা দেখবে ।
প্রতিযােগিতার আজ শেষ দিন । দুপুর আড়াইটে থেকে শুরু হয়েছে । ছেলেদের এবং ছােটো মেয়েদের তিনটি বিষয়ের ফাইনাল হয়ে যাবার পর ঘােষণা শােনা গেল : “ কম্পিটিটরস ফর দ্য লেডিজ হান্ড্রেড মিটার ফ্রি স্টাইল ইভেন্ট , প্লিজ ...। উইল কম্পিটিটরস কাম টু দিয়ার পােজিশনস ? দিস ইজ সেকেন্ড কল .... ”
কমলদিঘির অ্যাপােলাের অংশে এতক্ষণ একজন, পাড়ের কাছে মন্থরভাবে সাঁতার কাটছিল। অ্যাপােলের স্টার্টিং প্ল্যাটফর্মটা । জুপিটারেরই পঞ্চাশ মিটার পাশে । সেখানে চুপচাপ বসে চোখে পুরু কাচের চশমা , মাথায় কাঁচাপাকা চুল একটি লােক ! কেউ তাকে লক্ষ করছে না । আজ কমলদিঘির আনাচে - কানাচে সর্বত্রই লােক , সকলের চোখ জুপিটারের এলাকার দিকে ।
ঘােষণা শেষ হতেই ক্ষিতীশ উঠে দাঁড়াল ।
“ কোনি ! ” শান্ত নরম গলায় সে ডাকল । জল থেকে কোনি প্ল্যাটফর্ম উঠে এল । রেলিংয়ের ভীড়ের চোখ এদিকে ফিরল ।
জুপিটারের প্ল্যাটফর্মে সাঁতারুরা এসে দাঁড়িয়েছে । অমিয়াকে দেখা গেল হেসে কথা বলছে অতিথিদের মধ্যে বসা এক বৃদ্ধার সঙ্গে । অত্যন্ত ঢিলেঢালা নিশ্চিত ভঙ্গি । বেলা জলে নেমে মিনিট দুয়েক হাত ছুঁড়ে উঠে এল । এখন তােয়ালে দিয়ে জল মােছায় ব্যস্ত । অন্য ছয়টি মেয়ে কিঞ্চিৎ নার্ভাস । তারা পরস্পরের দিকে তাকিয়ে হাসবার চেষ্টা করেই মুখ শুকিয়ে ফেলেছে ।
হরিচরণ উত্তেজিতভাবে ধীরেন ঘােষের কানে ফিসফিসিয়ে কী বলল । ধীরেন ঘাড় ফিরিয়ে অ্যাপােলাের প্ল্যাটফর্মের দিকে তাকাল । সেটা লক্ষ করে অমিয়াও তাকাল । পাঁচ নম্বর ব্লকের পিছনে দাঁড়ানাে কালাে কস্টুম পরা মেয়েটিকে চিনতে তার অসুবিধা হলাে না । কোনির পাশে ঘড়ি হাতে দাঁড়িয়ে ক্ষিতীশ । সারা কমলদিঘি হঠাৎ যেন বুঝতে পেরেছে , এবার একটা কিছু ব্যাপার হতে চলেছে । চোখ গুলাে আপােলাের দিকে নিবন্ধ হচ্ছে ।
হরিচরণ কিছু একটা অমিয়াকে বলতেই অমিয়া কাঁধ ঝাকিয়ে তাচ্ছিল্য প্রকাশ করল । অ্যাপােলাে ক্লাবের বারান্দা থেকে বিষ্টু ধরের চিৎকার ভেসে এল : “ ডাউন দিতেই হবে , কোনি । ”
“ অন দ্য বাের্ড । ” স্টার্টারের চিৎকার শােনা গেল । এয়ার রাইফেলের নলটা আকাশমুখো তোলা । জুপিটারের ব্লকের উপর আটটি মেয়ে উঠল । অ্যাপােলাের পাঁচ নম্বর ব্লকে উঠেছে কোনি । সারা কমলদিঘি ঘিরে ভেসে উঠল মর্মর শব্দ ।
ওরা ব্লকের কিনারে পায়ের আঙুলগুলাে আঁকড়ে রেখে হাঁটু ভেঙে , কাধ ঝাঁকিয়েছে । দু’হাত পাখির ডানার মতাে পিছনে – যেন এখনি উড়বে ।
“ গেট .. সেট ... "
অমিয়া ও কোনি ছাড়া বাকি মেয়েরা ঝপঝপ জলে পড়ল । এয়ার রাইফেলের ক্যাপ ফোটেনি । কমলদিঘি ঘিরে বিদ্রুপ ও আক্ষেপ এক চক্কর ঘুরে গেল । অমিয়া আড়চোখে কোনির দিকে তাকিয়ে গম্ভীর হয়ে গেল ।
নতুন ক্যাপ লাগানো হয়েছে ।
“ অন দ্য বাের্ড । ”
মেয়েরা আবার ব্লকের উপর উঠল ।
“ গেট ... সেট ...। ”
এয়ার রাইফেলে ‘ ফটাশ ’ শব্দ হলাে ।
এক সঙ্গে নয়টি মেয়ে জলে পড়ল । সঙ্গে সঙ্গে কমলদিঘির উপর গড়িয়ে পড়ল চাপা একটা গর্জন । দর্শকরা উঠে দাঁড়িয়েছে । ফুটবল মাঠের মতাে । তাদের চোখ ডাইনে - বামে ৫০ মিটার যাতায়াত করছে আগুয়ান দুটি সাঁতারুকে লক্ষ করতে করতে ।
তিরিশ মিটার পর্যন্ত কোনি আর অমিয়া সমান রেখায় । বাকিরা ৭/৮ মিটার পিছনে । এরপর অমিয়া একটু একটু করে এগােতে শুরু করল ।
“ কোও - ও - নিই । ” অ্যাপােলাের দিকে ভীড়ের মধ্যে থেকে কে চিৎকার করে উঠল । “ কোও - ও - নিইই । ”
“ গাে , অমিয়া গাে । ” জুপিটার থেকে চিৎকার শােনা গেল ।
ক্ষিতীশ মূর্তির মতাে দাঁড়িয়ে একদৃষ্টে কোনির দিকে তাকিয়ে । মুখে ভাবান্তর নেই ।
অমিয়া দু’হাত এগিয়ে গেছে । বেলা তার পিছনে প্রায় আট মিটার দূরত্বটা সমানে রেখে চলেছে । বাকিদের দিকে কেউ তাকাচ্ছেই না ।
অমিয়া সবার আগে ৫০ মিটার বাের্ড ছুঁয়েছে । ঘুরে গিয়ে সে কোনিকে অতিক্রম করার সময় একবার মুখ ফিরিমে তাকাল । কোনি যেন থমকে গেল । তারপরই বাের্ড ছুঁয়ে ঘুরেই টর্পেডাের মতাে ছিটকে এল ।
রোগতপ্ত মানুষের মতাে কমলদিঘি ভুল বকতে শুরু করেছে ।
“ কেও - ও - নিই । ”
“ এটা ছেলে না মেয়ে , মশাই । ” " মেয়ে মেয়ে , আমাদের ক্লাবের মেয়ে – কোনি । "
পারবে না । এক বডি পেছনে পড়ে গেছে । কেন যে ক্ষিদ্দা এমন হাস্যকর ব্যাপার করল । "
৬০ মিটার । অমিয়া এগিয়ে চলেছে ।
৬৫ মিটার । কোনি উঠছে ।
৭০ মিটার । কোনি সমান রেখায় অমিয়ার সঙ্গে । নিঃশ্বাস নেবার জন্য অমিয়া ঘনঘন হাঁ করছে । পায়ের পাড়ি এলােমেলাে হয়ে এসেছে । হাত দুটো উঠছে - পড়ছে যেন নিয়ম রক্ষার জন্য । জলের গভীরে ডুবিয়ে টেনে কোমরের পিছন পর্যন্ত আনার জোরটুকু আর নেই । অমিয়া নিভে আসছে ।
“ কাম অন অমিয়া , কাম অন বেগল চ্যামপিয়ন । ”
“ ফাইট কোনি , ফাইট । ”
হঠাৎ কমলদিঘি ঘিরে বিরাট একটা চিৎকার হাউইয়ের মতাে আকাশে উঠল । কোনি পিছনে ফেলেছে অমিয়াকে । ওর ছিপছিপে শরীরটার মধ্যে দিনে দিনে সঞ্জিত যন্ত্রণায় ঠাসা শক্তির ভাণ্ডারটিতে যেন বিস্ফোরণ ঘটল । ছন্দোবদ্ধ ওঠা - নামা করে । চলেছে দুটি হাত , তার সঙ্গে তাল রেখে চলেছে পা দুটি ; ওর দুপাশে ইংরাজি ‘ ভি ’ অক্ষরের মতাে ঢেউয়ের রেখা ছড়িয়ে পড়ছে । পায়ের আঘাতে বিরামহীন স্ফীত জলতরঙ্গ ওকে অনুসরণ করছে ।
মসৃণ , স্বচ্ছন্দ কিন্তু হিংস্র ভঙ্গিতে কোনি নিজেকে টেনে বার করে নিয়ে গেল । ফিনিশিং বাের্ডে হাত লাগিয়েই সে উদ্বিগ্ন ব্যগ্র চোখে পাশে মুখ ফেরাল । তখনাে অমিয়া পোঁছয়নি । “ উইইই ' শব্দে তীক্ষ্ণ চিৎকার করে কোনি চিত হয়ে বাের্ডে পায়ের ধাক্কা দিয়ে আবার ঝাপিয়ে পড়ল আনন্দে ।
“ তিন বডি , ক্লিয়ার তিন বডিতে মেরেছে । ”
“ কোওওনি ... কোওওনি । ” ভীড়ের মধ্যে তিনটি ছেলে তালে তালে সুর করে চেচিয়ে যাচ্ছে । কোনি হাত নাড়ল তাদের উদ্দেশে ।
“ কী রকম ডাউন খাওয়াল দেখলে । জুপিটার থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে , তারই শােধ নিল । ”
“ অনেকদিন এমন মজা পাইনি কিন্তু । ”
হঠাৎ সব আলােচনা , উত্তেজনা থমকে গিয়ে এবার দ্বিগুণ জোরে হৈ হৈ চিৎকার উঠল । হাততালি পড়ছে , শিস উঠছে একটি অবিশ্বাস্য দৃশ্য দেখে । অ্যাপােলাের স্টার্টিং প্ল্যাটফর্মে এতক্ষণ ধরে প্রস্তরবৎ , ভাবলেসহীন ক্ষিতীশ এখন তিড়িং তিড়িং লাফাচ্ছে ।
“ কোথায় হরিচরণ , মুখখানা একবার দেখা । ” লাফাতে লাফাতে ক্ষিতীশ চিৎকার করে চলল । “ ওলিম্পিকের গুল মেরে কি আর সুইমার তৈরি করা যায় রে পাচা ? বুদ্ধি যাই , খাটুনি চাই , নিষ্ঠা চাই...গবেট গবেট সব । ”
ব্যস্ত হয়ে প্ল্যাটফর্মের উপর ভেলাে উঠে এসে ক্ষিতীশকে জড়িয়ে ধরল । “ হচ্ছে কী ক্ষিদ্দা , এত লােকের সামনে , তােমার কি মাথাটা বিগড়ে গেল নাকি ! চলাে চলাে , ক্লাবে চলল । বিষ্টু ধর ওদিকে একসাইটমেন্টে সেন্সলেন্স হয়ে পড়েছিল । অ্যাই কোনি , উঠে আয় । ”
ক্লাবের বারান্দায় বেঞ্চে শুয়েছিল বিষ্টু ধর । ক্ষিতীশকে দেখে ওঠার চেষ্টা করতেই দু জন তাকে সাহায্য করল ।
“ দশ কেজি রসগােল্লা আনতে পাঠিয়েছি । ” ক্ষীণস্বরে বিষ্টু ধর বলল । “ ব্যান্ড পার্টি আনাব । কোনিকে সারা নর্থ ক্যালকাটা ঘোরাব । ”
“ খবরদার , ও কাজটি করবেন না । তাহলে হাজার পাঁচেক ভােট কমে যাবে । ”
বিষ্টু ধর ফ্যালফ্যাল করে ক্ষিতীশের দিকে তাকিয়ে থেকে , অস্ফুটে আপন মনে বলল , “ কিন্তু আমার যে জেনুয়িন আনন্দ হচ্ছে । ”
ক্ষিতীশ কোনিকে ডেকে গম্ভীর মুখে বলল , “ টার্নিংয়ের ভুল হলাে কেন ? ”
“ তখন কেমন যেন সব গুলিয়ে গেল । অমিয়াদি টান নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে , টাম্বল টার্নের কথা আর মনেই এল না । ”
“ আসলে নিজের ওপর তখন ভরসা হারিয়ে ফেলেছিলিস । মনে এলে সময় আরাে কমতাে । ”
“ আমার সময় কত হলাে ক্ষিদ্দা ? ”
বুক পকেট থেকে ঘড়ি বার করে তাকিয়েই ক্ষিতীশ ভু কঞ্চিত করল এবং ক্রমশ মুখটা অপ্রতিভ হয়ে উঠল ।
“ ভুলে গেছি রে ! ফিনিশের সময় এমন একসাইটমেন্ট চারদিকে ... তবে বেঙ্গল রেরর্ড নিশ্চয় আজ ভেঙেছিস । ইসস , সময়টা যদি রাখতুম । ”
“ ক্ষিন্দা , আমায় যে এখন প্রজাপতিতে যেতে হবে, দেরি হলে বৌদি রাগ করবে । ”
“ হ্যাঁ , হ্যাঁ , দেরি করিসনি আর । ” ক্ষিতীশ ব্যস্ত হয়ে বলল । কিন্তু কোনি ইতস্তত করছে দেখে জিজ্ঞাসা করল , “ কী হলাে ? ”
“ কানে কানে বলব । ”
ক্ষিতীশ নিচু করল মাথাটা ।
“ রসগােল্লা আনতে পাঠিয়েছে না ! ”
“ তাই তাে ! নিশ্চয় ভেলােটা আনতে গেছে । তাহলে আজ আর তাের বরাতে রসগােল্লা নেই । ”
“ কে বললে নেই । ” বিষ্টু ধর গর্জন করে উঠল । “ ব্যান্ড পার্টি ঘােরানাে গেল না , রসগােল্লার হাঁড়িটাই তার বদলে প্রজাপতি ঘুরে আসবে । ”
“ তাহলে তাের বৌদির রাগও জল হয়ে যাবে । ”
সেদিন রাত্রে বাড়ি ফিরে ক্ষিতীশের প্রতি লীলাবতীর প্রথম উক্তি হলাে : “ অতলােকের সামনে এই বুড়াে বয়সে ধেই ধেই করে নাচছিলে কেন ? লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছিল । সবার সামনে অসভ্যতা , দোকানের মেয়েরাও দেখল তাে ? ”
ক্ষিতীশ মাথা চুলকোতে চুলকোতে কোনির দিকে তাকাল । “ তাের বৌদি জানল কী করে ? ”
ফিসফিস করে কোনি বলল , “ বৌদি দেখতে গেছল । আমি বলেছিলুম আজকের সাঁতারের কথাটা , নইলে ছুটি পেতুম না যে । ” তারপর হেসে বলল , “ বৌদি আমার মাপ নিয়েছে , একটা ফ্রক করে দেবে । ” লাজুক স্বরে বলল , “ বৌদি বলেছে , ইন্ডিয়া রেকর্ড করলে সিল্কের শাড়ি দেবে । ”
কোনিকে বাড়ি পৌঁছে দেবার পথে ক্ষিতীশ জিজ্ঞাসা করল , “ কী মনে হচ্ছিল রে তাের , যখন সাতরাচ্ছিলিস । ”
কোনি অনেকক্ষণ চুপ করে হাঁটল , তারপর স্বপ্নের ঘােরে যেন কথা বলছে , এমনভাবে বলল , “ জানাে ক্ষিদ্দা , রােজ যখন প্র্যাকটিস করি , তখন জলের মধ্যে নীচের দিকে তাকিয়ে মনে হয় , আমার সঙ্গে সঙ্গে একটা মুখও এগিয়ে চলেছে । বডড ভয় করে তখন । ”
“ মুখটা কেমন দেখতে রে ? ”
“ দাদার মতন । আজও ছিল আমার সঙ্গে । ”
